ইনকাম ট্যাক্স অফিসে এক ভীষণ খটমটে দেখতে মহিলা এসে, গাণনিকের সামনের সোফাটায়, একেবারে পায়ের উপর ঠ্যাং তুলে বসলেন। পরনে সবুজ রঙ্গের একটা কামিজ, আর কালো- লম্বামতো একটা স্কার্ট। খস করে ম্যাচ জ্বালিয়ে একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে মহিলা বললেন, “ল্যাখেন। আমার আয়কর বেত্তান্ত, এই বছরের জন্য।”
অ্যাকাউন্ট্যান্ট হা করে তাকিয়ে বললেন, “ঠিকাছে। আগে তো আরো তথ্য-তথ্যাদি দরকার।” বলেই অ্যাকাউন্ট্যান্ট সাহেব ভদ্রমহিলা(!)র নাম-ধাম, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা সব টুকে নিলেন।
“….এবার আপনার পেশা।” বললেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট।
মহিলা বিড়িতে শোঁ শোঁ দুইটা সুখটান দিয়ে ড্যামকেয়ার ভঙিতে বললেন, “ল্যাখেন, ‘মাগি’।”
“মানে?” থতমত খেলেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট।
“না না।” একটু দম ধরে নিলেন অ্যকাউন্ট্যান্ট সাহেব। “ব্যাপারটা আমি বুঝতে পেরেছি। মানে…মানে বলছিলাম কি…এটা তো একটা সরকারি নথিপত্র। মানে একটু ভদ্রগোছের কিছু…”
“ওহ।”, ভোঁস করে ধোঁয়া ছাড়লেন মহিলা। “তাইলে ল্যাখেন ওই ‘পতিতা’। প, ত এ ই কার….”
“না না।” মহিলাকে রোধ করলেন অ্যাকাউন্টেন্ট সাহেব। “আমি তা বলছি না। মানে, কোনো ভ্যালিড প্রফেশন দিলে ভালো হয়।”
মহিলা বক্রদৃষ্টি হানলেন অপদার্থ গাণনিকের চোখ বরাবর। “যদি এইগুলা লিখতে চুলকায়, তাইলে ল্যাখেন ‘প্রেরণাদায়িনী’, অথবা ‘সাহসদাত্রী’ “।
মহিলার শব্দচয়নে ভদ্রলোক যুগপৎ চমকিত ও হতবুদ্ধ হলেন। “মানে বুঝি নাই।”
“মানে বুঝেন নাই?” বললেন মহিলা। “ওই একটা ডেয়ারিং কাম করলে লোকে আপনাকে বলেনা, ‘বাড়া বাড়ছে বেশি’ “
অ্যাকাউন্ট সাহেব উপর-নিচ মাথা নাড়লেন। হ্যাঁবোধক।
“ওইরকম আমার কারণে বাড়া বাড়ছে,…বহু ব্যাটার।”
ভদ্রলোক এখনো মূঢ়ই রইলেন, বুঝলেন না যেন কিছুই। “আচ্ছা বাদ দেন। এইটাতো কোন পেশা বলে মনে হচ্ছেনা। একটা সোজা-সাপ্টা পেশার নাম বলেন না।”
এবার মহিলা নিজের রুক্ষ চুলে খানিক হাত বোলালেন। বিড়ির পুচ্ছে আরেকটা টান দিয়ে সচিন্তিত ভঙিতে বললেন, “তাইলে ল্যাখেন, ‘স্বর্ণকার’।”
“ক্যামনে?”
-”গতবছর, ভালোমতো করে, আমি অন্তত শ-দুই পিস সোনা সাইজ করছি।”