মজার মজার কৌতুক পড়ে যদি হাঁসতে হাঁসতে গাল ব্যাথা ও পেটে খিল ধরাতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন , আর Visit করুন - http://www.funnykoutuk.blogspot.com/ শেয়ার করে বন্ধুদেরও হাঁসান । সাথে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : যাদের হার্ড দর্বল তারা ভুলেও কৌতুক পড়বেন না। আর পড়লেও নিজ দাযিত্বে পড়বেন। ****: বদিউজ্জামান ( রুবেল )
*** কৌতুক পড়ে যদি হাঁসতে হাঁসতে পেটে খিল ধরাতে চান, গাল দুটো ব্যাথা বানাতে চান , তাহলে Funny Koutuk এই সাইটটি নিয়মিত Visit করুন । যদি বন্ধুদেরও হাসাতে চান তাহলে শেয়ার করুন । সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরন : যারা হার্টের রুগী তারা ভুলেও কৌতুক পড়বেন না, আর যদি পড়েন তাহলে নিজ দায়িত্বে পড়বেন। *** বদিউজ্জামান ( রুবেল ) ***

Friday, January 29, 2016

তন্দ্রালু স্ত্রী

জনাব মাইকেল যদুমদন গেলেন চার্চের পুরোতের কাছে বিশেষ এক আর্জি নিয়ে।
“মহামান্য” বললেন যদুমদন। “কিছুদিন ধরে এক বিশ্রী ব্যাপার ঘটছে। বলি কি, আমার বউ- ওই বদবক্ত মহিলাটা আপনার অভিভাষণের সময় প্রায়ই বেঘোরে ঘুমিয়ে পড়ে। বুঝতেই পারছেন, একজন ধার্মিক ব্যক্তি হিসেবে এটা আমার জন্য যেমনটা বিব্রতকর, তেমনি ধর্মবিষয়ক একজন তুখোড় বক্তা হিসেবে আপনার জন্যও বেশ হানিকর। ভীষণ খাণ্ডারনি মেয়েলোক বলে সামনাসামনি মুখফুটে কিছু বলতেও পারিনা। কি করা যায় বলুনতো?”
যাজক মশায় কিছুক্ষণ ভেবে-চিন্তে বললেন, “একটা বুদ্ধি করা যায়।” যাজক মশায় তার গাউন থেকে একটা বড়সড় পিন খুলে নিয়ে মাইকেল যদুমদন সাহেবের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “এটা রাখো বৎস। যখন আমি দেখবো তোমার স্ত্রী ঝিমুতে শুরু করছে তখন আমি তোমাদের দিকে হেঁটে যাব। ঠিক তখনই তুমি এই পিনটা তার হাঁটুতে ফুটিয়ে দেবে, তাতেই কাজ হবে।”
পরের রোববার। গির্জায় ধর্মীয় অধিবেশনে একটানা বকে যাচ্ছেন যাজক মশায়। হঠাৎ তিনি দেখলেন মাইকেল  যদুমদন সাহেবের পাশে এক মহিলা ঝিমুতে ঝিমুতে যেন ঢলেই পড়ছে। দেখেই তিনি সেই বরাবর হাঁটা ধরলেন। যাজক মশায়কে এগুতে দেখে যদুমদন সাহেবও আন্দোলিত হলেন। তিনি তাঁর পকেট থেকে যাজক সাহবের দেয়া পিনটা বের করলেন।
যাজক মশায় যদুমদন দম্পতির কাছে যেতে যেতে জনতার উদ্দেশ্যে বলতে লাগলেন, “কে সেই ব্যক্তি, যিনি বিশ্বমানবকে আদিপাপ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন….?”
“যিশু!!” জোরে চিল্লে উঠলেন মিসেস যদুমদন, কারণ একটু আগেই তাঁর হাঁটুতে শেলসম কিছু একটা এসে যেন বিঁধল।
“ঠিকই বলেছ কন্যা।” সেদিকটায় তাকিয়ে বললেন যাজক। “ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।”
কিছুক্ষণ পর যাজকমশায় আবারো দেখলেন সেই বেওকুফ নারী আবারো রানীক্ষেতি মুরগি জ্যায়সা ঝিম মেরে আছে।
ব্যাপারটায় তিনি আবারও বিব্রত হলেন। ভাষণ দিতে দিতেই হাঁটা ধরলেন সেদিকে। যাজক মশায়কে আসতে দেখে যদুমদন সাহেবও প্রস্তুত হয়ে গেলেন।
সেদিকটায় গেলে যাজক মশায় উচ্চকন্ঠে জনতার উদ্দেশ্যে বললেন, “আমাদের সকল হীনকর্ম, সকল পাপ,  ক্ষমা করতে পারেন একমাত্র কে….?”
“ঈশ্বর!!” মর্মভেদী কন্ঠে হেঁকে উঠলেন মিসেস যদুমদন…হাঁটু ঘঁষতে থাকলেন তিনি।
“চমৎকার!” বললেন যাজক। “সমস্ত প্রশংসা ঈশ্বরের যিনি তোমাকে এমন প্রজ্ঞা দান করেছেন, কন্যা।”
বেশ কিছুক্ষণ পর মিসেস যদুমদন আবারো ঘুমের ঘোরে ঢলে পড়লেন। এবার কিন্তু যাজক মশায় সেটা খেয়াল করলেন না। কিন্তু তিনি বেখেয়ালেই হাঁটতে হাঁটতে যদুমদন দম্পতির পানে ধাবিত হলেন। সেটা দেখে মাইকেল সাহেব ভাবলেন এটা হয়তো যাজক মশায়ের তৃতীয় দফা ইংগিত। তিনিও পিনটা মুঠোয় পুরে নিয়ে তৈরি হয়ে রইলেন।
যাজক মশায় আসছেন আর সবার উদ্দেশ্যে বলছেন, “জানেন কি, নিরান্নব্বইজন সন্তান জন্ম দেবার পর শততম সন্তান লাভের মানসে আদম যখন ইভ এর নিকটবর্তী হলেন, তখন ইভ তাঁকে কি বলেছিলেন…”
“বদমাশ কোথাকার!!” তীব্রকণ্ঠে বললেন মিসেস যদুমদন। “তুমি আরেকবার যদি ওটা আমার শরীরে প্রবেশ করিয়েছ, তো ঈশ্বরের দিব্যি বলছি, ওটা ভেঙে দুটুকরো করে সাফ সাফ তোমার পেছনে ঢুকিয়ে দেব।”

অন্যরা এখন যা পড়তেছে